শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন
নগরের পাথরঘাটা এলাকায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে শিশুসহ ৭ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১৫ জন।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের কুঞ্জমনি ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর দু’টি ভবনের দেয়ালের একাংশ ধসে পড়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন বলেন, পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় গ্যাসের লাইনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ওই ভবনের দু’টি দেয়াল ধসে পড়ে। এ সময় আহতাবস্থায় বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক জসীম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। ১৬ জনকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছি। সেখানে ৭ জন মারা গেছেন। নন্দনকানন, চন্দনপুরা ও আগ্রাবাদ তিন স্টেশনের ১০ গাড়ি উদ্ধার কাজ শুরু করে। গ্যাস লাইন পুরনো ছিল। লিকেজ, নাশকতা, কেমিক্যাল আছে কিনা তদন্ত করা হচ্ছে। বিস্ফোরণে ২টি আবাসিক ভবনের প্রাচীর ও সড়কের সীমানা প্রাচীর ধসে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের দোতলা পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছি।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। সঙ্গে ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসমাইল বালি, জহরলাল হাজারী, শৈবাল দাশ সুমন, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ প্রমুখ। এছাড়া দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান ও নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, পাথরঘাটায় বিস্ফোরণের পর আহতাবস্থায় প্রথমে ১২ জনকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে ৭ জনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের মধ্যে চারজন পুরুষ, দুইজন নারী ও একজন শিশু।
banglanews24 logodesktop icon
php glass
চট্টগ্রাম প্রতিদিন
চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ, নিহত ৭
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল। ছবি: সোহেল সরওয়ার
walton
চট্টগ্রাম: নগরের পাথরঘাটা এলাকায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে শিশুসহ ৭ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১৫ জন।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের কুঞ্জমনি ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর দু’টি ভবনের দেয়ালের একাংশ ধসে পড়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
php glass
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন বাংলানিউজকে বলেন, পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় গ্যাসের লাইনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ওই ভবনের দু’টি দেয়াল ধসে পড়ে। এ সময় আহতাবস্থায় বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ksrm
বিস্ফোরণের পর উদ্ধার কাজ চলছে। ছবি: সোহেল সরওয়ার চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক জসীম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। ১৬ জনকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছি। সেখানে ৭ জন মারা গেছেন। নন্দনকানন, চন্দনপুরা ও আগ্রাবাদ তিন স্টেশনের ১০ গাড়ি উদ্ধার কাজ শুরু করে। গ্যাস লাইন পুরনো ছিল। লিকেজ, নাশকতা, কেমিক্যাল আছে কিনা তদন্ত করা হচ্ছে। বিস্ফোরণে ২টি আবাসিক ভবনের প্রাচীর ও সড়কের সীমানা প্রাচীর ধসে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের দোতলা পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছি।
বিস্ফোরণস্থলে স্বজনদের আহাজারী। ছবি: সোহেল সরওয়ার দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। সঙ্গে ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসমাইল বালি, জহরলাল হাজারী, শৈবাল দাশ সুমন, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ প্রমুখ। এছাড়া দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান ও নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, পাথরঘাটায় বিস্ফোরণের পর আহতাবস্থায় প্রথমে ১২ জনকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে ৭ জনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের মধ্যে চারজন পুরুষ, দুইজন নারী ও একজন শিশু।
বিস্ফোরণের পর উদ্ধার কাজ চলছে। ছবি: সোহেল সরওয়ার এদিকে নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়ার নুরুল ইসলাম (৩১), পটিয়ার মেহেরআটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অ্যানি বড়ুয়া (৪০), পাথরঘাটার জুলেখা খানম ফারজানা (৩০) ও তার ছেলে আতিকুর রহমান (৮), মো. শুক্কুর (৫০)।
বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে অর্পিতা নাথ ও সন্ধ্যা নাথ স্থানীয় বড়ুয়া বিল্ডিংয়ের নিচতলার বাসিন্দা। রাঙ্গুনিয়ার কাজল নাথের মেয়ে কৃষ্ণকুমারী স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অর্পিতা নাথ বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। রিকশা আরোহী পাথরঘাটা সেইন্ট জোন্স গ্রামার স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা ডরিন তৃষা গোমেজ (২৩), ইউসুফ (৪০), ইসমাইল (৩০), আবদুল হামিদ (৪২), মো. আরিফ (২২), সন্ধ্যা রাণী দেবী (৩৫), নজির আহম্মেদ সহ বেশ ক’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।